➊ মাহারাম ছাড়া কোন মহিলার সাথে হজ্জ এ যাওয়া জায়েজ হবে কি ?
প্রশ্নঃ জনৈক নারীর কথা হচ্ছে, আমি রামাযানে ওমরা করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। কিন্তু আমার সাথে থাকছে আমার সহদোর বোন, তার স্বামী ও আমার মা। এই ওমরায় যাওয়া কি আমার জন্য জায়েয হবে?
উত্তরঃ এদের সাথে ওমরায় যাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবেনা। কেননা বোনের স্বামী আপনার মাহরাম নয়।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুতবায় বলেনঃ
لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً قَالَ اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ
“কোন পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে নির্জন না হয়। মাহরাম ছাড়া কোন নারী যেন সফর না করে।” তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল আমার স্ত্রী হজ্জ আদায় করার জন্য বের হয়ে গেছে। আর আমি উমুক উমুক যুদ্ধের জন্য নাম লিখিয়েছি? নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তুমি চলে যাও এবং তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ পালন কর।” নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছে কোন ব্যাখ্যা চাইলেন না তোমার স্ত্রীর সাথে কি অন্য কোন নারী আছে না নেই? সে কি যুবতী না বৃদ্ধা? রাস্তায় সে কি নিরাপদ না নিরাপদ নয়?
➋ কেননা হজ্জ-ওমরা ফরয হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নারীর মাহরাম থাকা !
আর যে সকল নারীদের মাহরম হওয়া যাবেঃ
(১) তোমাদের মাতা,
(২) তোমাদের কন্যা,
(৩) তোমাদের বোন,
(৪) তোমাদের ফুফু,
(৫) তোমাদের খালা,
(৬) ভ্রাতৃকণ্যা;
(৭) ভগিনীকণ্যা,
(৮) তোমাদের দাদী,
(৯) তোমাদের নানী,
(১০) তোমাদের দুধ-বোন,
(১১) তোমাদের স্ত্রীদের মাতা,
(১২) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী,
(১৩) তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে,
(১১) তোমাদের স্ত্রীদের মাতা,
(১২) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী,
(১৩) তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে,
(১৪) তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে,
☼ আল্লাহ কোরআনে বলেন (সূরা আন নিসা , আয়াত নং- ২৩)
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।